শয়তানের কৌশল: ডিপ্রেশন এবং মানসিক বিষণ্ণতা

 

শয়তানের কৌশল: ডিপ্রেশন এবং মানসিক বিষণ্ণতা

প্রশ্ন: ডিপ্রেশন কিভাবে তৈরী হয়?

শয়তান মানুষকে পথভ্রষ্ট করার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করে। তার মধ্যে একটি হলো এক ধরণের ডিপ্রেশন বা মানসিক বিষণ্ণতা সৃষ্টি করা। শয়তানের উদ্দেশ্য হলো মানুষকে আল্লাহর ইবাদত থেকে দূরে সরিয়ে রাখা, আর এ লক্ষ্যে যত ধরণের উপায় অবলম্বন করা প্রয়োজন, সে তা করে।

মানুষকে আল্লাহর ইবাদত থেকে দূরে রাখার অন্যতম কৌশল হলো বিভিন্ন সমস্যা, সংকট, ও বালা-মুসিবতে মানুষকে এমনভাবে মানসিকভাবে বিষণ্ণ করে ফেলা যাতে তারা চুপচাপ বসে থাকে এবং কোনো কাজ করতে না পারে। এ ধরণের মানসিক সমস্যার পেছনে শয়তানের ভূমিকা রয়েছে, এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, অনেক মানসিক রোগ শয়তানের কুমন্ত্রণার ফলাফল।

ধর্মপ্রাণ মানুষেরা সাধারণত অধার্মিকদের চেয়ে এসব মানসিক যুদ্ধ ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারে। কারণ আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। ধার্মিক মানুষেরা সাধারণত জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রাখে এবং দুঃখ-কষ্ট ভালোভাবে সহ্য করতে পারে।

প্রশ্ন: এখন তাহলে শয়তানের এ কৌশলের বিরুদ্ধে কিভাবে জয় লাভ করবো?

শয়তানের কৌশলের বিরুদ্ধে জয় লাভ করার জন্য প্রয়োজন আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং ইবাদতের পরিমাণ বৃদ্ধি করা। এখানে কিছু কার্যকর উপায় দেওয়া হলো:

  1. ইবাদাত বৃদ্ধি করা: আল্লাহর ইবাদাতের মাধ্যমে তাঁর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করা যায়। নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত, অধ্যয়ন, এবং বেশি বেশি নামাজ পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজগুলো অন্তরে প্রশান্তি আনতে সাহায্য করে। ↪️আরও জানুন 

  2. ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন: দ্বীনের ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করে আপনার ঈমান বৃদ্ধি করা। রাসূলুল্লাহ (স) এর বক্তব্য শুনে এবং দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করে আপনার ঈমান শক্তিশালী হবে। ↪️আরও জানুন 

  3. নিয়মিত জিকির ও দুআ করা: প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিকির ও দুআ নিয়মিত পড়া উচিত। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়, প্রবেশ করার সময়, খাওয়ার সময়, ঘুমাতে যাওয়ার সময় এবং জেগে ওঠার সময় দুআগুলো পাঠ করতে হবে যাতে শয়তানের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আল্লাহর জিকিরে মগ্ন থাকা মানে আপনি 'হিসনুল হাসিন' সংরক্ষিত দুর্গের ভেতরে আছেন, যা আপনাকে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা করবে। ↪️আরও জানুন 

  4. আল্লাহর নিকট দুআ করা: শয়তানের কুমন্ত্রণা অনুভব করলে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করা। আল্লাহ বলেছেন, "শয়তানের পক্ষ থেকে যদি তুমি কুমন্ত্রণা অনুভব কর, তাহলে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর।" (৪১:৩৬) ↪️আরও জানুন 

  5. ধার্মিক মুসলিমদের সাথে চলাফেরা করা: সৎ ও ধার্মিক মানুষের সাথে চলাফেরা করা এবং একা না থাকা। সৎ মানুষদের সাথে থাকলে তারা আপনাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেবে এবং তাঁর কাছাকাছি নিয়ে আসবে। ↪️আরও জানুন 

এভাবে আপনি শয়তানের কুমন্ত্রণা এবং মানসিক বিষণ্ণতা থেকে রক্ষা পেতে পারেন এবং আল্লাহর ইবাদাতের মাধ্যমে মানসিক শান্তি লাভ করতে পারেন।


ড. রেজাউল করিম, এই গবেষণা নিবন্ধের লেখক

#বুদ্ধিরবাতিঘর #শিক্ষা #জ্ঞান #শেখা #ফেসবুকপেইজ

Dʀ. Rᴀᴢᴀᴜʟ Kᴀʀɪᴍ ɪs ᴛʜᴇ ᴀᴜᴛʜᴏʀ ᴏғ ᴛʜɪs ʀᴇsᴇᴀʀᴄʜ sᴛᴜᴅʏ.


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ